Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বিধবা ভাতা

বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের ভাতা কর্মসূচি

 


 

বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের দারিদ্র ও অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে তাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য সরকার বিধবা ভাতা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের ভাতা কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ভাতা প্রাপ্ত বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের প্রতিমাসে ১৫০ টাকা করে ভাতা  দেওয়া হয়।

 

বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের চিহ্নিত করার মানদন্ড 

  • বিধবা বলতে তাদেরকে বোঝানো হয় যাদের স্বামী মৃত।
  • স্বামী পরিত্যক্তা বলতে তাদের বোঝানো হয় যারা স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত বা অন্য যে কোন কারণে কমপক্ষে ২ বছর যাবৎ স্বামীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বা একত্রে বাস করেন না।

 

বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা ভাতা পাবার জন্য প্রার্থীর যোগ্যতা 

  • সবচেয়ে বেশি বয়সী অসহায় ও দুঃস্থ, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
  • যিনি দুঃস্থ, অসহায়, প্রায় ভূমিহীন, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা এবং যার ১৬ বছর বয়সের নিচে ২টি সন্তান রয়েছে তিনি ভাতা পাবার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান।
  • দুঃস্থ, দরিদ্র, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তাদের মধ্যে যারা প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ তারা ভাতা পাবার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান।

 

বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা ভাতা পাবার জন্য প্রার্থীর অযোগ্যতা 

  • যিনি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী।
  • যিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেনশনের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
  • যিনি দুঃস্থ মহিলা হিসেবে ভিজিডি কার্ডধারী।
  • যিনি অন্য কোনভাবে নিয়মিত সরকারি অনুদান পেয়ে থাকেন।
  • যিনি কোন বেসরকারি সংস্থা/সমাজ কল্যাণমূলক অনুদান পেয়ে থাকেন।
  • যিনি শহর ও পৌর এলাকার বাসিন্দা।
  • যিনি পেশাগতক্ষেত্রে দিনমজুর, ঝি-এর কাজ করেন এবং ভবঘুরে।
  • যিনি বয়স্ক ভাতা গ্রহীতা।

 

প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি 

  • বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের বাছাই করার জন্য ওয়ার্ড কমিটি দরখাস্ত আহবান করে এবং এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে জানায়।
  • বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা ভাতা গ্রহণে আগ্রহী আবেদনকারীগণ ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সদস্য-সচিব বরাবর আবেদনপত্র পেশ করেন।
  • বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা ভাতা প্রদানের জন্যে প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে এবং উপজেলা পর্যায়ে একটি করে কমিটি দায়িত্ব পালন করে।
  • উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা উপজেলা কমিটি কর্তৃক চুড়ান্তভাবে অনুমোদিত ভাতা প্রাপকের তালিকা এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ ও অন্যান্য তথ্য উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কাছে পাঠান।
  • কোন বয়স্ক ভাতা প্রাপকের মৃত্যু হলে তার জায়গায় একই ওয়ার্ডের অগ্রাধিকার ক্রম অনুযায়ী অপেক্ষমান তালিকা হতে প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে ভাতা গ্রহণের জন্য অন্তর্ভুক্ত হন।
  • তিনি তালিকাভুক্ত হবার দিন থেকে ভাতা গ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন।
  • ওয়ারিশ হিসেবে কাউকে ভাতা প্রদান করা হয় না।

 

ভাতা পরিশোধের পদ্ধতি 

  • বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের ভাতা প্রদানের জন্য বাজেটে বরাদ্দ অর্থ সমান ২ কিস্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় অবমুক্ত করে। তারপর সমাজসেবা অধিদপ্তর ওই অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ন্যস্ত করে।
  • তফসিলী ব্যাংকের মাধ্যমে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের ভাতা প্রদান করা হয়। উপজেলা পর্যায়ের বাইরে ইউনিয়ন পর্যায়ে তফসিলী ব্যাংক থাকলে তার মাধ্যমেও ভাতা পরিশোধ করা হয়।
  • যারা ভাতা পাবেন তাদের ছবিতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার/প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ একটি পাশবই থাকে। উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এই বই ইস্যু করে থাকেন।
  • উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস ও সমাজসেবা কর্মকর্তার অফিস বয়স্ক ভাতা প্রাপকের নাম, ছবি ও নমুনা স্বাক্ষরসহ রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করেন।
  • উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস ও সমাজসেবা কর্মকর্তার অফিস বয়স্ক ভাতা প্রাপকের নাম, ছবি ও নমুনা স্বাক্ষরসহ রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করেন।
  • শারীরিকভাবে অক্ষম কিংবা পর্দানশীন হবার কারণে ভাতা গ্রহণের জন্য কেউ  সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলে তিনি তার পক্ষে একজনকে মনোনয়ন দান করবেন। মনোনয়ন প্রাপ্ত ব্যক্তির পরিচয়পত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার/প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারা সত্যায়িত (সীলসহ)ছবি থাকবে। মনোনীত ব্যক্তি ভাতা গ্রহণের সময় ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জীবিত আছেন বলে স্থানীয় প্রতিনিধি (ওয়ার্ড মেম্বার/ চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ) এর সনদপত্র পেশ করবেন।
  • বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের প্রতিমাসে ভাতা প্রদান করা হয়। তবে কেউ চাইলে বছরে একবার বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতেও তুলতে পারেন।
  • বয়স্ক ভাতা গ্রহীতা মৃত্যুবরণ করলে সে সংবাদ সমাজসেবা কর্মকর্তা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর নিকট হতে মৃত্যৃ সনদপত্র সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ ও কার্যালয়কে অবহিত করেন।

 

সচরাচর জিজ্ঞাসা 

প্রশ্ন ১: বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলারা ভাতা পাওয়ার জন্য কার কাছে আবেদন করবেন?

উত্তর:ভাতা গ্রহণে আগ্রহী  বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলারা ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সদস্য-সচিব বরাবর আবেদনপত্র পেশ করবেন।

প্রশ্ন ২: প্রতি মাসে কত টাকা ভাতা দেওয়া হয়?

উত্তর: প্রতিমাসে ১৫০ টাকা করে ভাতা  প্রদান করা হয়।

প্রশ্ন ৩: কিভাবে ভাতা প্রদান করা হয?

উত্তর:তফসিলী ব্যাংকের মাধ্যমে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের ভাতা প্রদান করা হয়। উপজেলা পর্যায়ের বাইরে ইউনিয়ন পর্যায়ে তফসিলী ব্যাংক থাকলে তার মাধ্যমেও ভাতা পরিশোধ করা হয়

 


 

তথ্যসূত্র

ইউনিয়ন পরিষদ প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল (২০০৩), এ কে শামসুল হক ও কাজী মোঃ আফছার হোসেন ছাকী (সম্পাদিত), জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি), ২৯ আগারগাঁও, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭।

বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের দারিদ্র ও অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে তাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য সরকার বিধবা ভাতা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের ভাতা কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ভাতা প্রাপ্ত বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাদের প্রতিমাসে ১৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়।

 

রাণীনগর ইউনিয়নে বিধবা ভাতা ভোগকারী মহিলার জন প্রতি প্রতি মাসে ৩০০ টাকা হারে ভাতা পায়। উক্ত তালিকাটি সংযক্ত করা হলো।